Sunday, March 16, 2014

সংগীতের ব্যকরন

বাংলা ,ইংরেজি ব্যকরনের মত সংগীতের ও ব্যকরন রয়েছে ।সংগীতের ব্যকরন কে উপপত্তিক বলা হয় । সঙ্গীতে অনেক শব্দ ব্যবহার করা হয় এই শব্দ গুলোকে পরিভাষা বলা হয় । এই পরিভাষা না বুঝলে শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয় । ভালো গান গায়তে পারা ও সংগীত সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখা এক নয় । সংগীত সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখতে ও সুরের গভীরে প্রবেশ করে সংগীত সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখতে হলে অবশ্যয় । পরিভাষা শব্দ প্রকরন ও ব্যকারনিক জ্ঞান থাকতে হবে । সংগীত জগতের পরিধী ব্যপক তবু সংক্ষেপে প্রশ্ন উত্তর এর মাধ্যমে বিষয় গুলো সহজে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে । হয়ত বা অনেক প্রশ্নের উত্তর এখানে সং যোজন করা সম্ভব হবেনা । তাই আপনাদের জানা প্রশ্ন উত্তর আমাদের সাথে সেয়ার করতে পারেন । এবং সংগীত বিষয়ক যে কোন প্রশ্ন করতে পারেন সাহায্য চাই ক্যটাগড়িতে । আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করব উত্তর দেবার । নিম্নে আমরা সংগীত বিষয়ক প্রয়জনীয় প্রশ্ন উত্তর দিয়ে দিলাম ।আশা করি আগ্রহী ও নবীন শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন । প্রশ্ন ১ . সংগীত কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ? এক কথায় গীত , বাদ্য ও নৃত্যর সমষ্টিকে শাস্ত্রমতে সংগীত বলে । কিন্তু গীত , বাদ্য ও নৃত্য আলাদা আলাদা এক একটি কলা বা বিদ্যা । সংগীত সাধারণত দুই প্রকার । ১. উচ্চাঙ্গ বা মার্গ সংগীত । (রাগ , খেয়াল , ধুন ইত্যাদি সংগীত কে উচ্চাঙ্গ বা মার্গ সঙ্গীত বলে । ২. লঘু সংগীত বা দেশীও সংগীত হালকা অঙ্গের গান আধুনিক ,পল্লিগীতি ভাটিয়ালী ইত্যাদি গান গুলো লঘু সংগীতের নামে পরিচিত । দৃষ্টি আকর্ষণ –ব্যান্ড , হিপহপ এই ধরনের গান গুলো আমাদের দেশীও না হলেও লঘু সংগীতের অন্তর্ভুক্ত । আমাদের দেয়া তথ্যে কারো দ্বিমত থাকলে উপযুক্ত প্রমান সহ আমাদের সাথে সেয়ার করুন । অবশ্যয় আপনার মতামতের মূল্যায়ন করব । প্রশ্ন ২. সংগীত শাস্ত্র কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ? যে সকল গ্রন্থ পড়ে সংগীতের বিষয় সমুহে জ্ঞান লাভ করা যায় । সে সকল গ্রন্থ গুলোকে সঙ্গীত শাস্ত্র বলে । সঙ্গীত শাস্ত্র সাধারণত তিন প্রকারের হয়ে থাকে । ১. গীত ধায্য (উচ্চাঙ্গ , লঘু সঙ্গীত সম্পর্কিত গ্রন্থ । ) ২. বাদ্য ধায্য ( বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কিত গ্রন্থ ) ৩. নিত্য ধায্য ( নিত্য সম্পর্কিত গ্রন্থ ) প্রশ্ন ৩. গীত কাকে বলে ? বাদ্য যন্ত্র বিহীন শুধু কণ্ঠের সাহায্যে শ্রুতি মধুর ভাবে পরিবেশন করা কে গীত বলে । গীত নানা প্রকারের হয়ে থাকে ধ্রুপদ , খেয়াল , ঠুমরী , ভাটিয়ালী ইত্যাদি । আমাদের সংস্কৃতি জুড়ে বিয়ে সহ নানা অনুষ্ঠানে এক ধরনের গীতের প্রচলন ছিল । যা আজ বিলুপ্তির পথে .কিন্তু সে সকল কৃষ্টি কালচার গুলো আমাদের ঐতিহ্য । প্রশ্ন ৪. অচল স্বর কাকে বলে ? সপ্তকের সা ও পা কে অচল স্বর বলে । কারন এই দুটি স্বরের কোন কোমল বা কড়ি স্বর নেই । মা এর কোমল স্বর (ক্ষ) তিব্র বা কড়ি অথবা মধ্যম নামে পরিচিত । সপ্তক কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ? সাতটি স্বর সা রে গা মা পা ধা নি এই সাতটি স্বরের একত্রিত নাম হলো সপ্তক ।তবে শুদ্ধ স্বর ৭ টি ও কোমল স্বর ৫ টি মোট ১২ টি স্বরের সমষ্টি হলো সপ্তক । কোমল স্বর গুলো শুদ্ধ স্বরের নাম নেই কিন্তু অবস্থান নেই না । সপ্তক তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে । ১। উদার (অনেকে মন্ত্র বলে ) ২ মুদারা (অনেকে মধ্যম বলে ) ৩। তারা উদার , মুদারা ,তারা চেনার সহজ উপাই হচ্ছে । সি বা সা হতে বাম দিকের স্বর গুলোই উদার স্বর ।স্বরলিপি লেখার ক্ষেত্রে উদার স্বর গুলোর নিচে একটি হসন্ত ( ্ ) যুক্ত থাকে যেমন স্ র্ মুদার – আপনার সা হতে নি পর্যন্ত মুদার স্বর । অনেক গুণীজন সহজে বোঝানোর জন্য বলে থাকে আপনার সা হতে সা পর্যন্ত মুদার স্বর ।মুদারার স্বর গুলোতে কোন চিহ্ন থাকেনা । উপরের র্স থেকে ডানের স্বর গুলো হলে তারা । তারা স্বর গুলোতে একটি রেফ ( র্স ) চিহ্ন থাকে । লক্ষনীয় ভারতের কোন কোন প্রদেশে রেফ ও হসন্ত চিহ্নের পরিবর্তে ০ চিহ্ন ব্যবহার করে থাকে । সপ্তকের শাস্ত্রীয় নাম ও রূপ ।শুদ্ধ ও কোমল স্বরের পরিচয় । শুদ্ধ স্বর সা এর শাস্ত্রীয় নাম হলো ষড়জ বা স্বরোজ । এর কোন কোমল রূপ হয়না । শুদ্ধ স্বর র এর শাস্ত্রীয় নাম হলো রেখাব বা ঋষভ । এর কোমল রূপ ঋ । শুদ্ধ স্বর গ এর শাস্ত্রীয় নাম হলো গান্ধার । এর কোমল রূপ জ্ঞ । শুদ্ধ স্বর ম এর শাস্ত্রীয় নাম হলো তিব্র বা মধ্যম । এর কোমল (কড়ি) রূপ হ্ম । শুদ্ধ স্বর প এর শাস্ত্রীয় নাম হলো পঞ্চম । এর কোমল রূপ নেই । শুদ্ধ স্বর ধ এর শাস্ত্রীয় নাম হলো ধৈবত । এর কোমল রূপ দ । শুদ্ধ স্বর ন এর শাস্ত্রীয় নাম হলো নিষাদ বা নিখাদ । এর কোমল রূপ ণ । তাহলে বোঝা গেল , শুদ্ধ স্বর ৭ টি ও কোমল স্বর ৫ টি মোট ১২ টি স্বরের সমষ্টি হলো সপ্তক । কোমল স্বর গুলো শুদ্ধ স্বরের নাম গ্রহন করে কিন্তু অবস্থান ও রূপ গ্রহন করেনা । এবং সপ্তকের সা ও পা কে অচল স্বর বলে । কারন এই দুটি স্বরের কোন কোমল বা কড়ি স্বর নেই । সংগীতের স্বর কয়টি ও কি কি ? সংগীতের শুদ্ধ স্বর ৭ টি ও কোমল স্বর ৫ টি মোট ১২ টি স্বর যথা- সা রে (ঋ ) গা (জ্ঞ ) মা (হ্ম )পা ধা (দ) নি (ণ) তবে সাধারনভাবে আমরা সংগীত সাতটি স্বর বলে থাকি । আরোহী ও অবরোহী কাকে বলে ? ক্রমাশানুযায়ী স হতে নি পর্যন্ত উপর দিকে যাওয়া কে আরোহী বলে । এবং উপর থেকে নিচে নেমে আসা কে অবরোহী বলে । হারমোনিয়ামের অঞ্চল কাকে বলে ? ১। উদার (অনেকে মন্ত্র বলে ) ২ । মুদারা (অনেকে মধ্যম বলে ) ৩। তারা উদার , মুদারা ,তারা চেনার সহজ উপাই হচ্ছে । সি বা সা হতে বাম দিকের স্বর গুলোই উদার স্বর ।স্বরলিপি লেখার ক্ষেত্রে উদার স্বর গুলোর নিচে একটি হসন্ত ( ্ ) যুক্ত থাকে যেমন স্ র্ মুদার – আপনার সা হতে নি পর্যন্ত মুদার স্বর । অনেক গুণীজন সহজে বোঝানোর জন্য বলে থাকে আপনার সা হতে সা পর্যন্ত মুদার স্বর ।মুদারার স্বর গুলোতে কোন চিহ্ন থাকেনা । উপরের র্স থেকে ডানের স্বর গুলো হলে তারা । তারা স্বর গুলোতে একটি রেফ ( র্স ) চিহ্ন থাকে । লক্ষনীয় ভারতের কোন কোন প্রদেশে রেফ ও হসন্ত চিহ্নের পরিবর্তে ০ চিহ্ন ব্যবহার করে থাকে । এই উদার মুদারা , তারা এর সমষ্টি হল হারমোনিয়ামের অঞ্চল । সুর কাকে বলে ? স্বরের সঙ্গে আ-কার , ই-কার যুক্ত করে গাওয়াকে সুর বলে । সপ্তকের ক্ষেত্রে সা এর শাস্ত্রীয় নাম হলো ষড়জ বা স্বরোজ এই সা কেউ সুর বলে । সুর সম্পর্কে মজার ঘটনা । আমাদের রাজশাহী চাঁপাই নবাবগঞ্জ এ সা কে সুর বলাটা হাশ্যকর মনে হলেও অন্যন্য জেলাতে সা কে সুর বলা হয় । এ প্রসঙ্গে একটি মজার কথা মানিকগঞ্জের ফারুক ভাই আমাকে সুর ধরতে বলল । আমি তো গান ধরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম । কিন্তু উনি যখন তবলায় দুটি টোকা মাড়লেন বুঝে নিলাম উনি তারা সা ধরতে বললেন ।কিন্তু আমার মস্তিকের সবুজ সিগন্যাল পেতে দুই তিন সেকেন্ড দেড়ি হওয়াতে উনি ব্যাপারটি বুঝে নিলেন । দুজনে হাসতে লাগলাম । উনি বললেন আপনাদের অঞ্চলে সা কে সুর বলার প্রচলন নেই বললেই চলে । আসলে একটি শব্দ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ভাব প্রকাশ করে থাকে । লঘু সংগীত কাকে বলে ? শাস্ত্রীয় সংগীত কাকে বলে ? সাধারণত হালকা অঙ্গের গান আধুনিক ,পল্লিগীতি ভাটিয়ালী ইত্যাদি গান গুলো লঘু সংগীত বা দেশীও সংগীত বলা হয় । রাগ , খেয়াল , ধুন ইত্যাদি সংগীত কে উচ্চাঙ্গ বা মার্গ অথবা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বলে । নিত্য বা নাচ কাকে বলে ? নিত্য সংগীতের একটি অংশ বিশেষ । হৃদয়ের ভাব ,তাল , লয় সহযোগে বিভিন্ন প্রকার অঙ্গ ভঙ্গী দিয়ে প্রকাশ করাকে নিত্য বা নাচ বলে । নিত্য সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে । বাদ্য কাকে বলে ? আমরা জানি সংগীতের একটি বিশেষ অংশ হল বাদ্য । যদিও গীত ও বাদ্য একে অপরের পরিপুরক তবু বাদ্যর আলাদা সংজ্ঞা রয়েছে । সংগীতকে শুধু যন্ত্র দিয়ে শ্রুতিমধুর ভাবে প্রকাশ করাকে বাদ্য বা যন্ত্র সংগীত বলে । উপপত্তিক কাকে বলে ? সংগীতের ব্যকরন সমুহ যেমন – রাগ ঠাট সুর তাল লয় ইত্যাদি সুষ্ঠ রুপে জানাকে উপপত্তিক বলে । তুক কাকে বলে ? কত প্রকার কি কি ? তুক এর জন্মদাতার নাম কি ? তুক একটি মজার জিনিশ । আমরা সকলে তুকের সাথে পরিচিত কিন্তু তুকের পরিচয় জানিনা । গানের পদ বা কলি কে তুক বলা হয় । শাস্ত্রমতে তুক চার প্রকার । ১। স্থায়ী ২। অন্তরা ৩। সঞ্চারী ৪। অভোগ গানের প্রথম অংশকে স্থায়ী বা মুখ বলে । দ্বিতীয় অংশকে অন্তরা , তার পরের অংশ সঞ্চারী , সব শেষ অংশ অভোগ । ইদানীং অধিকাংশ আধুনিক গান গুলোতে সঞ্চারী থাকেনা বললেই চলে । সর্ব প্রথম গান চার ভাগে ভাগ করেন মিঞা তানসেন । এখানে আরও একটি মজার ব্যাপার মিঞা তানসেন এর বাল্য নাম রামতনু । অর্থাৎ মিঞা তানসেন , রামতনু একই ব্যক্তি । অকটেভ কাকে বলে ? ক্রমাশানুযায়ী স হতে র্স পর্যন্ত আট (৮) টি স্বরের সমষ্টি গত নামকে অকটেভ বলে । শুদ্ধ রাগ কাকে বলে ? সে সকল রাগ অন্য রাগের সংমিশ্রণে রচিত নয় সে সকল রাগ গুলোকে শুদ্ধ রাগ বলে । গ্রহ স্বর কাকে বলে ? সে স্বর হতে গীত বা গান আরম্ভ হয় তাকে গ্রহ স্বর বলে । ন্যাস স্বর কাকে বলে ? গায়তে গায়তে যে স্বরে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম নেয়া হয় তাকে ন্যস স্বর বলে । বাদী স্বর কাকে বলে ? রাগের প্রধান স্বর কে বাদী স্বর বলে অর্থাৎ যে স্বর রাগে বেশী ব্যবহার হয় । সমবাদী স্বর কাকে বলে ? রাগের প্রধান স্বর বা বাদী স্বর এর পরেই যে স্বরটি বেশী ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রধান স্বর ই হলো সমবাদী স্বর । বিবাদী স্বর কাকে বলে ? রাগের শত্রু সংখ্যা কে বিবাদী স্বর বলে ? অনুবাদী স্বর কাকে বলে ? রাগের প্রয়োজনীয় বাদী ও সমবাদী ছাড়া বাকি স্বর গুলি হলো অনুবাদী স্বর । বর্জিত স্বর কাকে বলে ? যে স্বর মোটেও ব্যবহার করা হয়না সে স্বর কে বর্জিত স্বর বলে । পকড় কাকে বলে ? রাগের সংক্ষিপ্ত স্বর কে পকড় বলে ? মাত্রা কাকে বলে ? তালের শুক্ষ অংশকে মাত্রা বলে ? একক কাকে বলে ? সময়ের পরিমাপ কে একক বলে ?

baul baul koro

http://www.youtube.com/watch?v=2JvHvs2RTw4

jar mone jemon

http://www.youtube.com/watch?v=YnUapyAZazw